গল্প: স্রোতের শেষে
লেখক> আবির হাসান নিলয় (মি. ভূত)
- এখানে বসে কি করছিস? (অবনি)
- কিছু না। এমনি বসে আছি। (আবির)
- এমনি কেনো?
- তাতো জানিনা।
- তোর হাতে ওগুলো কি? (অবনি)
- তুই নিজেই দেখ এগুলো কি।
- ওমা এগুলো তো কাশফুল। তা তোর কাছে কেনো? কাকে দিবি?
- কা'কে আর দেবো, আসার পথে রাস্তার পাশে ছিল। তাই ভাবলাম তুলে নিই।
- বেশ করেছিস। আমি এগুলো নিই?
- হুমম নে।
লেখক> আবির হাসান নিলয় (মি. ভূত)
- এখানে বসে কি করছিস? (অবনি)
- কিছু না। এমনি বসে আছি। (আবির)
- এমনি কেনো?
- তাতো জানিনা।
- তোর হাতে ওগুলো কি? (অবনি)
- তুই নিজেই দেখ এগুলো কি।
- ওমা এগুলো তো কাশফুল। তা তোর কাছে কেনো? কাকে দিবি?
- কা'কে আর দেবো, আসার পথে রাস্তার পাশে ছিল। তাই ভাবলাম তুলে নিই।
- বেশ করেছিস। আমি এগুলো নিই?
- হুমম নে।
অবনির হাতে আবিরের দেওয়া সাদা কাশফুল। অবনি হাতে নিয়ে তা নেড়েচেড়ে দেখছে। আর মুচকি হাসছে। আবির অবনির দিকে চেয়ে আছে একদৃষ্টিতে। আসলে আবির অবনির জন্যই ফুলগুলো এনেছে। শরতের সাদা মেঘের চলনে আর শুভ্র কাশফুলের সাদা রঙে প্রকৃতিতে এক নতুন রুপ আবির্ভাব করে। আকাশে ভেসে যায় সাদা মেঘ। অবনিরও প্রিয় রং সাদা। আবির বলে..
- একগুচ্ছো সাদা মেঘ তোকে দিলাম।
- সাদা মেঘ কখন দিলি? এটাতো কাশফুল।
- খোলা প্রান্তর। উপরে নীল আকাশ। শরৎ ঋতুতে সেই খোলা প্রান্তরের দিকে তাকালেই বুঝবি সাদা মেঘ মানে কাশফুল গুলো বাতাসে দোল খায়।
- তাই তো। ধন্যবাদ রে।
- সাদা মেঘ কখন দিলি? এটাতো কাশফুল।
- খোলা প্রান্তর। উপরে নীল আকাশ। শরৎ ঋতুতে সেই খোলা প্রান্তরের দিকে তাকালেই বুঝবি সাদা মেঘ মানে কাশফুল গুলো বাতাসে দোল খায়।
- তাই তো। ধন্যবাদ রে।
আবির চুপ হয়ে অবনির দিকে তাকায়। গোলগাল মুখের ঠিক ঠোটের নিচে ছোট্ট একটি কালো তিল। যা অবনিকে আরো সৌন্দর্যময় করে দেয়। সেই পরিচয় হওয়ার পর থেকে আবিরের মনে অবনির প্রতি আকৃষ্টতা রয়েছে। যা সাদা মেঘের মত পবিত্র এক আকর্ষন।
অবনি আবিরের দিকে তাকায়। দেখে সে পড়ন্ত বিকেলে ঠিক দূর আকাশের নিচে যে অলস সাদা মেঘগুলো খন্ড খন্ড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেদিকে তাকিয়ে আছে। অবনি মনে মনে হাসে। কি অদ্ভুত ছেলে আবির। অবনি যে তাকে ভালোবাসে আবির তা বুঝতেই পারে না। এ দিকে আবির মনে মনে হাসে কারন আবির তাকে ভালোবাসে অবনি তা বুঝতে পারে না।
অবনি আবিরের দিকে তাকায়। দেখে সে পড়ন্ত বিকেলে ঠিক দূর আকাশের নিচে যে অলস সাদা মেঘগুলো খন্ড খন্ড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেদিকে তাকিয়ে আছে। অবনি মনে মনে হাসে। কি অদ্ভুত ছেলে আবির। অবনি যে তাকে ভালোবাসে আবির তা বুঝতেই পারে না। এ দিকে আবির মনে মনে হাসে কারন আবির তাকে ভালোবাসে অবনি তা বুঝতে পারে না।
- অবনি?
- হুমম বল।
- তোকে একটা কথা বলি?
- অবশ্যই।
- মাঝে মাঝে তোকে শীতের হলুদ গাঁদা ও মাঠভরা সরসের হলুদ ফুলের মত মোলায়েম লাগে।
- হিহিহিহি...
- হুমম বল।
- তোকে একটা কথা বলি?
- অবশ্যই।
- মাঝে মাঝে তোকে শীতের হলুদ গাঁদা ও মাঠভরা সরসের হলুদ ফুলের মত মোলায়েম লাগে।
- হিহিহিহি...
আবিরের এমন কথা শুনে অবনি জোরে হেসে দেয়। পাশ দিয়ে কিছু কাপল আসা যাওয়া করছে। অবনির হাসির শব্দ শুনে তারা ওর দিকে না তাকিয়ে পারলো না। আর আবির সেই সুযোগে অবনির হাসি হাসি মুখের দিকে চেয়ে আছে অপলক। অবনি তা বুঝতে পেরে ওর হাসির পরিমান আরো বাড়ায়। তখনি আবির বলে.
- এভাবে হাসিস না অবনি।
- কেন?
- জানিনা
- কেন?
- জানিনা
আবির বলতে যেয়েও বলতে পারলো না যে "তোর হাসি দেখলে আমি তোর প্রেমে পড়ে যায়"। আবির আবার সামনে তাকায়। সাদা মেঘগুলো লালচে হতে শুরু করেছে। জানিয়ে দিয়ে যাচ্ছে এবার প্রকৃতিতে সন্ধ্যা নামবে। নিরাবতা কেটে অবনি বলে.
- আচ্ছা আবির তুই এত বোকা কেনো রে?
- জানি না।
- জানিস আমার এমন বোকা একটা বর দরকার।
- ওহ খুজে দেখ তাহলে।
- তুই আছিস তো খুজবো কেনো? (মজা করে)
- উহু হবে না। (আবির)
- কেনো?
- আমার তো তোর মত হলুদ প্রজাপতির মত বউ চাই না।
- হিহিহি.. তাহলে?
- আমার চাই রজনীগন্ধা ফুলের মত রাতের গন্ধবিলাসি একজন। আমার চাই লাল রক্ত জবার মত পাঁপড়ির ভাজ যা ভালোবাসায় সিক্ত। আমার চাই সাদা গোলাপের মত শুভ্র এক কাছে আসার আহ্বানে বসে থাকা একজন। আমার চাই সাদা কাশফুলের মত বাতাস নামক ভালোবাসার পরশে নেচে ওঠা সিক্ত শিহরন।
- জানি না।
- জানিস আমার এমন বোকা একটা বর দরকার।
- ওহ খুজে দেখ তাহলে।
- তুই আছিস তো খুজবো কেনো? (মজা করে)
- উহু হবে না। (আবির)
- কেনো?
- আমার তো তোর মত হলুদ প্রজাপতির মত বউ চাই না।
- হিহিহি.. তাহলে?
- আমার চাই রজনীগন্ধা ফুলের মত রাতের গন্ধবিলাসি একজন। আমার চাই লাল রক্ত জবার মত পাঁপড়ির ভাজ যা ভালোবাসায় সিক্ত। আমার চাই সাদা গোলাপের মত শুভ্র এক কাছে আসার আহ্বানে বসে থাকা একজন। আমার চাই সাদা কাশফুলের মত বাতাস নামক ভালোবাসার পরশে নেচে ওঠা সিক্ত শিহরন।
অবনি আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে। আবির কিছুটা দূরে উড়ে চলা পাতাবাহার গাছে ছোট্ট টুনটুনি পাখির দিকে চেয়ে আছে। দুটো টুনটুনি পাখি একে অপরের ঠোট দুটি এক জায়গায় রেখে মনের কথা বলছে হয়ত।
- তা খুজে পেয়েছিস? (অবনি)
- কাকে?
- তোর সেই মনের মানুষকে।
- হুমম পেয়েছি।
- ওহ।
- কাকে?
- তোর সেই মনের মানুষকে।
- হুমম পেয়েছি।
- ওহ।
আবিরের কথা শুনে অবনির মন খারাপ হয়ে যায়। অবনির চোখ দুটো হঠাৎ করেই ঝাপসা হতে থাকে। আবির তা দেখে ফেলে। অবনিও বুঝতে পারে আবির তাকে দেখছে। তাই ঝটপট পাশে থাকা কলেজ ব্যাগ হাতে নিয়ে অবনি বলে..
- সন্ধ্যা হয়ে আসছে বাড়ি যাবো।
- হুমম। আচ্ছা অবনি তোর চোখে পানি কেনো?
- আর বলিস না,চোখে হঠাৎ পোকা এসে পড়েছে।
- হিহিহি..
- সন্ধ্যা হয়ে আসছে বাড়ি যাবো।
- হুমম। আচ্ছা অবনি তোর চোখে পানি কেনো?
- আর বলিস না,চোখে হঠাৎ পোকা এসে পড়েছে।
- হিহিহি..
আবির হেসে দেয়। অবনি বুঝে গিয়েছে যে সে মিথ্যে বলে ধরা পড়ে গিয়েছে। অবনি আর দাঁড়ালো না। সোজা হাটতে শুরু করল। আবির বোকার মত ভাবে অবনি কাঁদছে কেনো? তবে কি সে ভালোবাসে আমাকে?
আবির তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ায়। সাইকেল চালিয়ে অবনির পাশে আসে। অবনি মাথা নিচু করে হাঁটছে। আবির মুচকি হাসে। অবনি চুপ করেই হেটে চলেছে। আবির বলে..
আবির তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ায়। সাইকেল চালিয়ে অবনির পাশে আসে। অবনি মাথা নিচু করে হাঁটছে। আবির মুচকি হাসে। অবনি চুপ করেই হেটে চলেছে। আবির বলে..
- এই নে তোর কাশফুল। ওখানে ফেলে এসেছিস।
- লাগবে না।
- ওহ। সাইকেলে উঠবি?
- নাহ। তোর মনের মানুষকে নে যা।
- লাগবে না।
- ওহ। সাইকেলে উঠবি?
- নাহ। তোর মনের মানুষকে নে যা।
আবির আবারো হাসে। সোজা ওর সামনে চলে যায়। আবির নিজের ব্যাগ থেকে একটা কালো ডায়েরি বের করে। সামনে সেটা বাড়িয়ে দেয়। সাথে সাদা কাশফুল।
- এটা নে। (আবির)
- কি এটা?
- ডায়েরি। তবে বাড়িতে যেয়ে দেখিস।
- এটা নে। (আবির)
- কি এটা?
- ডায়েরি। তবে বাড়িতে যেয়ে দেখিস।
আবির ওর হাতে গুজে দিয়ে সোজা বাড়ির দিকে যেতে থাকে। যখনি সে মেইন রাস্তার কাছে আসে সে পিছনে ঘুরে অবনিকে এক নজর দেখে নেয়। আর তখনি কন্ট্রোল হারানো এক পিকআপ উল্টো দিক থেকে জোরে চলে আসে। আবিরকে ধাক্কা দেয়। পিকআপটি বড় মোটা মেহগনি গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতটাই জোরে ধাক্কা লাগে ড্রাইভার সেখানেই মারা যায়। আর আবির..
আবির ছিটকে পড়ে অনেকটা দূরে। আবিরের সাইকেল আঁছড়ে পড়ে আরো দূরে। পিকআপটি আবিরের উপর দিয়েই যায়। চাকার নিচে পড়ে আবিরের দেহটি। যা রাস্তার কালো পিচ এর সাথে মিশে যায় একদম। আবির সেখানেই মারা যায়।
অবনি বিস্ময় এর মত সব দেখতে থাকে। ঘটনাটি ওর চোখের সামনে হয়। হা হয়ে সে দেখতে থাকে। বোবার মত চেয়ে থাকে সে। হাত পা কাঁপতে থাকে তার। জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে ও। আবির.. বলে ডাকতে ডাকতে সেন্স হারিয়ে ফেলে অবনি।
.
যখন জ্ঞান ফেরে তখন সে হসপিটালে। আশেপাশে সবাই তাকে ঘিরে রেখেছে। অবনি চারিদিকে তাকিয়ে খুজতে থাকে তার চিরপরিচিত একটি মুখ। যার নাম আবির। কিন্তু সে খুজে পায় না।
- কেমন আছিস মা?
অবনি তার মায়ের দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে। মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না তার। খুব কষ্টে বলে ওঠে "আবির"..
- আবির আর নেই মা। সে সেখানেই মারা যায়। তোকে আমরা রাস্তার পাশ থেকে নিয়ে আসছি।
.
যখন জ্ঞান ফেরে তখন সে হসপিটালে। আশেপাশে সবাই তাকে ঘিরে রেখেছে। অবনি চারিদিকে তাকিয়ে খুজতে থাকে তার চিরপরিচিত একটি মুখ। যার নাম আবির। কিন্তু সে খুজে পায় না।
- কেমন আছিস মা?
অবনি তার মায়ের দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে। মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না তার। খুব কষ্টে বলে ওঠে "আবির"..
- আবির আর নেই মা। সে সেখানেই মারা যায়। তোকে আমরা রাস্তার পাশ থেকে নিয়ে আসছি।
অবনি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায়। সবাই নানা প্রশ্ন করছে। কিন্তু অবনি নিশ্চুপ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সবার দিকে। হঠাৎ অবনি দেখতে পায় আবিরের প্রতিচ্ছবি। অবনি দৌড়ে যায় সে দিকে। প্রতিচ্ছবিটি হাওয়াতে মিলিয়ে যায়।
অবনি এখন বাসায়। ওর হাতে আবিরের দেওয়া শুকনো কাশফুল আর কালো রং এর ডায়েরি। চোখে পানি আর কাঁপাকাঁপা হাতে সে ডায়েরি খোলে। প্রথম পাতাতেই অবনির শাড়ি পরা একটি ছবি। আর নিচে লেখা..
অবনি এখন বাসায়। ওর হাতে আবিরের দেওয়া শুকনো কাশফুল আর কালো রং এর ডায়েরি। চোখে পানি আর কাঁপাকাঁপা হাতে সে ডায়েরি খোলে। প্রথম পাতাতেই অবনির শাড়ি পরা একটি ছবি। আর নিচে লেখা..
"অবনি মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে তোর হাত ধরে চিৎকার করে বলি ভালোবাসি। সেই চিৎকার শুনবে নীল আকাশ,কালো শালুক পাখি আর শরত ও বসন্তের রংবেরঙ প্রকৃতি। তোর হাতটা শক্ত করে ধরে বলবো তখন..
তোমার জন্যে শুধু ভালোবাসা নয়। আছে মনের গভীরে জমে থাকা তোমার প্রতি আমার সব আবেগ আর অনুভুতি। সেই অনুভূতির মাঝে রয়েছে তোমার প্রতি এক চিলতে ভালোবাসার সমতল উচু নিচু পাহাড়। ভালোবাসি তোমাকে, ভালোবাসবো প্রতিদিন।
.
অবনি ডায়েরিটা পড়ে। চোখে বেঁয়ে তার অশ্রু নিচে পড়ছে। চিৎকার করে আবির বলে ডাকতে থাকে সে। আবির আসে তার সামনে তবে তার অবয়ব। অবনি ছুটে যেতে চাই আবিরের অবয়ব ধরতে। কিন্তু তখনি টান পড়ে পায়ে বাধা লোহার শিকলে।
কারন হসপিটাল থেকে এসে অবনি রোজ ডায়েরিটা পড়ে। আর রোজ সে আবিরকে দেখতে পায়। আর ছুটে যেতে চাই তার দিকে। সুস্থ মস্তিস্কে সে আবিরকে দেখতে থাকে বলে লোহার শিকলে সে আজ বাধা।
----------'(সমা প্ত)'----------
তোমার জন্যে শুধু ভালোবাসা নয়। আছে মনের গভীরে জমে থাকা তোমার প্রতি আমার সব আবেগ আর অনুভুতি। সেই অনুভূতির মাঝে রয়েছে তোমার প্রতি এক চিলতে ভালোবাসার সমতল উচু নিচু পাহাড়। ভালোবাসি তোমাকে, ভালোবাসবো প্রতিদিন।
.
অবনি ডায়েরিটা পড়ে। চোখে বেঁয়ে তার অশ্রু নিচে পড়ছে। চিৎকার করে আবির বলে ডাকতে থাকে সে। আবির আসে তার সামনে তবে তার অবয়ব। অবনি ছুটে যেতে চাই আবিরের অবয়ব ধরতে। কিন্তু তখনি টান পড়ে পায়ে বাধা লোহার শিকলে।
কারন হসপিটাল থেকে এসে অবনি রোজ ডায়েরিটা পড়ে। আর রোজ সে আবিরকে দেখতে পায়। আর ছুটে যেতে চাই তার দিকে। সুস্থ মস্তিস্কে সে আবিরকে দেখতে থাকে বলে লোহার শিকলে সে আজ বাধা।
----------'(সমা