শিক্ষনীয় গল্পঃ পিরিয়ড একটি নোংরা রক্তের নাম
লেখকঃ সিয়াম আহমেদ
সময়টা ছিল এসএসসিতে পড়ার সময়।তখন শরীরে স্কুল লাইফ এর ছোঁয়া। তো আমি কোচিং করতাম শুরুর দিক থেকেই।ছেলে মেয়ে একসংগেই ক্লাস হত। কোচিং এর একজন স্যার ছিল যার কথাগুলা আমাকে খুব অনুপ্রেরণা দিত।স্যার এর ক্লাস করার জন্যই আমার প্রতিদিন কোচিং এ যাওয়া ছিল।নইলে খুব একটা ক্লাস করতে ইচ্ছা করত না ভীষন ফাঁকিবাজ ছিলাম এবং আছিও।
.
একদিন ক্লাসে একটা মেয়ে একটু পর পর ওয়াশরুমে যাচ্ছে। তো আমার সেই পছন্দের স্যার ই ক্লাস নিচ্ছিলেন। স্যার হটাৎ করে মেয়েটিকে বলে উঠলেন রক্তের আর সময় নাই। আর নিজের ডেট নিজে মনে রাখতে পার না? নাকি এইটাও বয়ফ্রেন্ড এর দায়িত্ব। কথা শুনে ক্লাসের অধিকাংশ ছেলে মেয়ে হেসে উঠল আর মেয়েটিকে নিয়ে শুরু করল গবেষণা। স্যার ও তাদের সংগে সেই বিকৃত খেলায় মেতে উঠল। স্যার বলল দেখত বেঞ্চ এ কিছু লেগে আছে কিনা। মেয়েটি মাথা নত করেই দাঁড়িয়ে ছিল।আমার তখন অসহ্য লাগছিল ক্লাসটা মনে হচ্ছিল নরকের মাঝে বসে আছি।আমি মেয়েটাকে ইশারা দিয়ে বের হতে বললাম আর আরেকটা মেয়েকে বললাম ওর সংগে যেতে। নিজের কাছে খুব খারাপ লাগছিল যে মানুষটাকে আমি এত শ্রদ্ধা করি তিনি কিভাবে এইরকম করেন আর এত নিচ মনের একজন মানুষ হতে পারেন।আমি হঠাৎ দাঁড়িয়ে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যাব পিছন থেকে এক ফ্রেন্ড বলল দোস্ত তর ও কি রক্ত বের হয় নাকিরে নাকি ও তোর গার্লফ্রেণ্ড। মেজাজ একদম খারাপ হয়ে গেল। অই স্যার নামক মানুষটার সামনেই আমি অকে একটা গালি দিলাম স্যার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে ডাকছেন আমি না শুনার ভান ধরে বের হয়ে আসলাম ক্লাস থেকে।মেয়েটি তখন দাঁড়িয়ে কান্না করতেছিল আমাকে বলল এইসময় আমার অনেক কষ্ট হয় ব্যাথা হয়। মেয়েটি হোষ্টেল এ থেকে পড়াশুনা করত।তো আমি ফার্মাসি থেকে একটি প্যাড এনে দিলাম সে লজ্জায় নিচ্ছিল না।আমি বললাম আমার জন্মও একজন মায়ের গর্ভেই যে পিরিয়ড নিয়ে সবাই এমন হাসাহাসি করে অই বাজে নোংরা রক্তটার জন্যই আমাদের জন্ম। এইটা মজার কিছু না। ছোটবেলা থেকেই আমার এই জিনিসটা সম্পর্কে জানা হলে আমি কখনও হেয় চোখে দেখি নি।সেই স্যার কে আমি আর কখনও সম্মান করতে দেখি নি।তবে সেদিন আমার স্যার এর থেকেও বেশী রাগ লেগেছিল ক্লাস এর কিছু মেয়ের ওপর ওরাও হাসাহাসি করছিল। সবসময় পিরিয়ড নিয়ে শুধু বলা হয় ছেলেরা মজা করে বাজে মন্তব্য করে কিন্তু সেদিন দেখলাম শুধু ছেলেরা নয় মেয়েরাও একজন আরেকজনকে হেনস্তা করে। হ্যাঁ আমিও অনেক খারাপ কাজ করি আমিও ভালো ছেলে না কিন্তু যে প্রক্রিয়াধীন এর মাধ্যমে আমার জন্ম আমার মা আমাকে জন্ম দেওয়ার জন্য এতদিন কষ্ট করেছে সেইটাকে তো আমি অসম্মান করতে পারি না।তাহলে নিজের জন্মকে অসম্মান করা হবে। আজকে কথাগুলা বলার কারণ বাসার নিচে একটি মেয়েকে দেখলাম প্যাড কিনে নিয়ে যাচ্ছে আর কিছু ছেলে মন্তব্য করছে হাসাহাসি করছে। সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলি এইটা লজ্জার কিছু না।এই জিনিস না হলে আমার আপনার মত কুলাঙ্গার এর জন্ম হত না।আর জন্ম না হলে আমরা এইটা নিয়ে এত মজা করতাম কিভাবে? আমরা না পুরুষ....! সেদিন আমি অনেক কেঁদেছি এই ঘটনা দেখে।
লেখকঃ সিয়াম আহমেদ
লেখকঃ সিয়াম আহমেদ
সময়টা ছিল এসএসসিতে পড়ার সময়।তখন শরীরে স্কুল লাইফ এর ছোঁয়া। তো আমি কোচিং করতাম শুরুর দিক থেকেই।ছেলে মেয়ে একসংগেই ক্লাস হত। কোচিং এর একজন স্যার ছিল যার কথাগুলা আমাকে খুব অনুপ্রেরণা দিত।স্যার এর ক্লাস করার জন্যই আমার প্রতিদিন কোচিং এ যাওয়া ছিল।নইলে খুব একটা ক্লাস করতে ইচ্ছা করত না ভীষন ফাঁকিবাজ ছিলাম এবং আছিও।
.
একদিন ক্লাসে একটা মেয়ে একটু পর পর ওয়াশরুমে যাচ্ছে। তো আমার সেই পছন্দের স্যার ই ক্লাস নিচ্ছিলেন। স্যার হটাৎ করে মেয়েটিকে বলে উঠলেন রক্তের আর সময় নাই। আর নিজের ডেট নিজে মনে রাখতে পার না? নাকি এইটাও বয়ফ্রেন্ড এর দায়িত্ব। কথা শুনে ক্লাসের অধিকাংশ ছেলে মেয়ে হেসে উঠল আর মেয়েটিকে নিয়ে শুরু করল গবেষণা। স্যার ও তাদের সংগে সেই বিকৃত খেলায় মেতে উঠল। স্যার বলল দেখত বেঞ্চ এ কিছু লেগে আছে কিনা। মেয়েটি মাথা নত করেই দাঁড়িয়ে ছিল।আমার তখন অসহ্য লাগছিল ক্লাসটা মনে হচ্ছিল নরকের মাঝে বসে আছি।আমি মেয়েটাকে ইশারা দিয়ে বের হতে বললাম আর আরেকটা মেয়েকে বললাম ওর সংগে যেতে। নিজের কাছে খুব খারাপ লাগছিল যে মানুষটাকে আমি এত শ্রদ্ধা করি তিনি কিভাবে এইরকম করেন আর এত নিচ মনের একজন মানুষ হতে পারেন।আমি হঠাৎ দাঁড়িয়ে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যাব পিছন থেকে এক ফ্রেন্ড বলল দোস্ত তর ও কি রক্ত বের হয় নাকিরে নাকি ও তোর গার্লফ্রেণ্ড। মেজাজ একদম খারাপ হয়ে গেল। অই স্যার নামক মানুষটার সামনেই আমি অকে একটা গালি দিলাম স্যার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে ডাকছেন আমি না শুনার ভান ধরে বের হয়ে আসলাম ক্লাস থেকে।মেয়েটি তখন দাঁড়িয়ে কান্না করতেছিল আমাকে বলল এইসময় আমার অনেক কষ্ট হয় ব্যাথা হয়। মেয়েটি হোষ্টেল এ থেকে পড়াশুনা করত।তো আমি ফার্মাসি থেকে একটি প্যাড এনে দিলাম সে লজ্জায় নিচ্ছিল না।আমি বললাম আমার জন্মও একজন মায়ের গর্ভেই যে পিরিয়ড নিয়ে সবাই এমন হাসাহাসি করে অই বাজে নোংরা রক্তটার জন্যই আমাদের জন্ম। এইটা মজার কিছু না। ছোটবেলা থেকেই আমার এই জিনিসটা সম্পর্কে জানা হলে আমি কখনও হেয় চোখে দেখি নি।সেই স্যার কে আমি আর কখনও সম্মান করতে দেখি নি।তবে সেদিন আমার স্যার এর থেকেও বেশী রাগ লেগেছিল ক্লাস এর কিছু মেয়ের ওপর ওরাও হাসাহাসি করছিল। সবসময় পিরিয়ড নিয়ে শুধু বলা হয় ছেলেরা মজা করে বাজে মন্তব্য করে কিন্তু সেদিন দেখলাম শুধু ছেলেরা নয় মেয়েরাও একজন আরেকজনকে হেনস্তা করে। হ্যাঁ আমিও অনেক খারাপ কাজ করি আমিও ভালো ছেলে না কিন্তু যে প্রক্রিয়াধীন এর মাধ্যমে আমার জন্ম আমার মা আমাকে জন্ম দেওয়ার জন্য এতদিন কষ্ট করেছে সেইটাকে তো আমি অসম্মান করতে পারি না।তাহলে নিজের জন্মকে অসম্মান করা হবে। আজকে কথাগুলা বলার কারণ বাসার নিচে একটি মেয়েকে দেখলাম প্যাড কিনে নিয়ে যাচ্ছে আর কিছু ছেলে মন্তব্য করছে হাসাহাসি করছে। সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলি এইটা লজ্জার কিছু না।এই জিনিস না হলে আমার আপনার মত কুলাঙ্গার এর জন্ম হত না।আর জন্ম না হলে আমরা এইটা নিয়ে এত মজা করতাম কিভাবে? আমরা না পুরুষ....! সেদিন আমি অনেক কেঁদেছি এই ঘটনা দেখে।
লেখকঃ সিয়াম আহমেদ
Tags:
Bengali Stories
Hate Story
Love Story
Romantic Story
Valobasar Golpo
কষ্টের ভালোবাসার গল্প
ভালোবাসার গল্প
শিক্ষনীয় গল্প