- পিরিয়ড
কোরিয়ান এক ভদ্রমহিলার কাজ সেরে বাস এ করে বাড়ী ফেরার পথে পিরিয়ড শুরু হয়!!স্কার্ট ভেদ করে রক্তের দাগ বাস এর সিটে লেগে গেলে মহিলা খুব অস্বস্তিতে পড়ে যান!!
মহিলার সহযাত্রী ভদ্রলোক পুর ঘটনাটা নোটিশ করেন এবং কিছু না বোঝার ভান করে নিজের হাতে থাকা স্ত্রবেরি জ্যুস এর কিছুটা মহিলার স্কার্ট এ ফেলে দেন!!
তারপর সরি বলতে বলতে নিজের ব্লেজার টা এগিয়ে দিয়ে বলেন ভেজা অংশ কাভার করে বাস থেকে নেমে যেতে!! পরে কোনদিন ব্লেজার ফেরত দিলেই হবে!!
মহিলা বাড়ী ফেরার পরে বুঝতে পারেন লোকটা আসলে তাকে পিরিয়ডের লজ্জা থেকে বাঁচাতে তার গায়ে জুস ফেলেছিল!!
ঠিক এরকমই আরেকটা ঘটনা সম্প্রতি ইনডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে!! একজন মা তার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে লিখেছেন
আজ স্কুল থেকে বাসে করে বাড়ী ফেরার সময় আমার মেয়ের পিরিয়ড স্টার্ট হয়!!তার স্কারট এ স্টেইন দেখে একটা ছেলে তার কাছে এগিয়ে আসে এবং তাকে এক কোনে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে কানে কানে বলে, তার ড্রেস এ দাগ লেগেছে!! তারপর নিজের সোয়েটার টা এগিয়ে দিয়ে বলে ওটা কোমরে বেধে নিতে!!
মেয়েটা অস্বস্তি করলে সে আশ্বস্ত করে,বলে,লজ্জার কিছু নেই,আমারও বোন আছে,আমি জানি এটা স্বাভাবিক!!
মেয়েটির মা এরপর সেই ছেলের মাকে উদ্দেশ্য করে লেখেন- সঠিক ভাবে পুত্রকে মানুষ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!!
আমার পুত্রকেও আমি সঠিক পুরুষ বানাতে চাই,এবং শেখাতে চাই,কাপড়ে কাদা লাগলে যেমন গোপন করার বিষয় থাকেনা,তেমনি পিরিয়ডের স্টেইন ও গোপন করার কোন বিষয় না!!
সে যদি এরকম অস্বস্তিতে কোন মেয়েকে দেখে তাহলে যেন বলে,লজ্জা কেন পাচ্ছ??পিরিয়ডের দাগই তো,
কাওকে খুন তো আর কর নাই....................
একটা বিশেষ ধরনের শারীরিক গঠন হলেই আমরা তাকে পুরুষ বলি!!কিন্তু পুরুষ আসলে দুই প্রকার !! সঠিক পুরুষ আর অঠিক পুরুষ!!আর সঠিক পুরুষ চেনার প্রধান এবং প্রথম লক্ষণ হল নারী জাতির প্রতি তার আচরণ কেমন??একজন পুরুষ যত সফলই হোক না কেন মেয়েদের সম্মান না দিলে বুঝতে হবে তার মধ্যে ঝামেলা আছে!!
- পতিতা
অবাক হলাম যখন ফার্মেসি থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন এর বদলে মেয়েটি কনডম কিনলো!
আমি প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে মেয়েটার পিছু নিলাম। খানিকটা ইতস্তত বোধ করলেও কৌতূহল মেটাতে তাকে ডাক দিলাম।
"আপু শুনছেন?"
"জ্বি ভাইয়া বলেন?"
"একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করবো?"
মেয়েটা হেসে জবাব দিলো,
" আমি জানি আপনি কি জিজ্ঞাসা করবেন।"
অবাক হলাম যখন ফার্মেসি থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন এর বদলে মেয়েটি কনডম কিনলো!
আমি প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে মেয়েটার পিছু নিলাম। খানিকটা ইতস্তত বোধ করলেও কৌতূহল মেটাতে তাকে ডাক দিলাম।
"আপু শুনছেন?"
"জ্বি ভাইয়া বলেন?"
"একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করবো?"
মেয়েটা হেসে জবাব দিলো,
" আমি জানি আপনি কি জিজ্ঞাসা করবেন।"
একটু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রইলাম।
মেয়েটা নিজের থেকেই বললো,
"আমার বাবা অথর্ব। সড়ক দুর্ঘটনায় দুটি পা হারিয়ে ঘরের এক কোণে পড়ে আছেন। মা টুকটাক সেলাই জানেন। কিন্তু তা দিয়ে কি সংসার চলে? ছোট দুটো ভাই বোন আছে। ওদের পড়ার খরচ, দৈনন্দিন জীবনের খরচ, অনেক ভেবে চিন্তে আমি চাকরি খুঁজতে থাকি। কোনোমতে অনার্সটা শেষ করি। একটা চাকরিও পেয়ে যাই। তবে সমস্যা হলো অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায়। সেদিন আমার এক কলিগ অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে একদল জানোয়ারের কাছে ধর্ষিত হয়। হতে পারে, সেই জানোয়ারদের পরবর্তী শিকার আমি। তাই, প্রটেকশন নিয়ে রাখছি সাথে। ওই যে বলে না? ধর্ষণ যখন সুনিশ্চিত তা উপভোগ করাই শ্রেয়?"
আমি বললাম,
" আপু দেশে আইন বলে কিছু আছে।"
সে তড়িঘড়ি করে বলে উঠলো,
"ভাগ্যিস মনে করিয়ে দিলেন! বলতে ভুলে গেছিলাম, আমার কলিগ পুলিশের কাছেও গিয়েছিলো। শুনেছি, উনিও কুপ্রস্তাব দিয়ে বসেছেন। বাপ মরা মেয়ে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা ভেবে গলায় দড়িও দিতে পারছে না।"
আমি বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। মেয়েটি শান্ত গলায় বললো,
"কখনো যদি আমার এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তবে আমি উপভোগই করবো। কারন এই সুশীল সমাজ ধর্ষককে নয়, ধর্ষিতাকে অপরাধীর চোখে দেখে। আর আমি তো সমাজের নিয়ম অমান্য করে চলি। চাকরি করি, রাত করে বাড়ি ফিরি। এ জাতীয় মেয়েরাই ধর্ষণের শিকার হয়। এদের জন্য সমাজ ধর্ষককে দায়ী করবে না। আমার ওপর আমার মা-বাবার ভালো থাকা আর আমার ভাই-বোনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে আছে। আমাকে যে আরো অনেক দিন বাঁচতে হবে ভাই! ভালো থাকবেন।"
লক্ষ্য করলাম মেয়েটার চোখের কোণায় জল চিকচিক করছে। সে মলিন হেসে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো। আমি ঝাপসা চোখে তাঁকিয়ে রইলাম তার প্রস্থানের পথে