মেটাভার্স আসলে কী❓
অবিশ্বাস্য মেটাভার্স, ভার্চুয়াল বিশ্বকে করে তুলবে বাস্তবের মতো এমন এক প্রযুক্তি তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে হয়ে গেছে যা বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত সাই-ফাই মুভির মতো মনে হবে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে এখন আর সেটা কল্পনার পর্যায়ে থাকছে না।
ভাবুন তো, বিশ্বের কোথাও কোনো কোম্পানি তাদের নতুন মডেলের একটি গাড়ি তৈরির পর সেটা অনলাইন বাজারে ছাড়লো আর ক্রেতা হিসেবে আপনি বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে গাড়িটি চালিয়ে দেখতে পারলেন।
অথবা ঘরে বসে অনলাইন শপিং করার সময় একটি পোশাক পছন্দ হলো। ওই পোশাকের একটি ডিজিটাল সংস্করণ গায়ে দিয়ে দেখার পরই আপনি জামাটি কেনার জন্য অর্ডার দিলেন।
ধরা যাক, ফেসবুকে আপনার একজন বন্ধু পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে কিছু অসামান্য ছবি পোস্ট করেছেন। ফেসবুক দেখার সময় এই প্রযুক্তির কারণে মনে হবে আপনিও সেখানে উপস্থিত আছেন।
আর যে প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব ঘটবে তার নামই হলো ‘মেটাভার্স’।
মেটাভার্সকে বলা হচ্ছে ইন্টারনেটের ভবিষ্যত। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে বাস্তব জগতের মতো যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি কোন কিছু শুধু দেখতেই পাবেন না, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতেও সক্ষম হবেন।
তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপন বলেন, ‘এটাকে থ্রি-ডি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড বলতে পারেন। স্ক্রিনে এখনকার বেশিরভাগ স্পেস হচ্ছে টু-ডি বা দ্বিমাত্রিক। কিন্তু মেটাভার্স জগতে আমাদের অভিজ্ঞতা হবে থ্রি-ডির মতো। টেলিফোনে কারো সঙ্গে কথা বললে মনে হবে সামনা-সামনি আলাপ হচ্ছে।’
সাধারণ মানুষের কাছে মেটাভার্স প্রযুক্তিকে আপাতত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা ভিআর-এর কোন সংস্করণ বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে এটি তার চেয়েও অনেক বেশি।
প্রযুক্তিবিদেরা জানিয়েছেন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সঙ্গে মেটাভার্সের তুলনা আজকের দিনের স্মার্টফোনের সঙ্গে আশির দশকের মোবাইল ফোনের তুলনা করার মতো।
বর্তমানে ভিআর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনলাইন গেমিং-এর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু মেটাভার্সের ব্যবহার হবে সকল বিষয়ে - অফিসের কাজ থেকে শুরু করে খেলা, কনসার্ট, সিনেমা, এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার বেলাতেও।
অবিশ্বাস্য মেটাভার্স, ভার্চুয়াল বিশ্বকে করে তুলবে বাস্তবের মতো - ছবি : সংগৃহীত
এমন এক প্রযুক্তি তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে হয়ে গেছে যা বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত সাই-ফাই মুভির মতো মনে হবে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে এখন আর সেটা কল্পনার পর্যায়ে থাকছে না।
ভাবুন তো, বিশ্বের কোথাও কোনো কোম্পানি তাদের নতুন মডেলের একটি গাড়ি তৈরির পর সেটা অনলাইন বাজারে ছাড়লো আর ক্রেতা হিসেবে আপনি বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে গাড়িটি চালিয়ে দেখতে পারলেন।
অথবা ঘরে বসে অনলাইন শপিং করার সময় একটি পোশাক পছন্দ হলো। ওই পোশাকের একটি ডিজিটাল সংস্করণ গায়ে দিয়ে দেখার পরই আপনি জামাটি কেনার জন্য অর্ডার দিলেন।
এমন প্রযুক্তির উপস্থিতির ফলে অনলাইনের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে সত্যিকারের বাস্তব পৃথিবীর মতো।
ধরা যাক, ফেসবুকে আপনার একজন বন্ধু পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে কিছু অসামান্য ছবি পোস্ট করেছেন। ফেসবুক দেখার সময় এই প্রযুক্তির কারণে মনে হবে আপনিও সেখানে উপস্থিত আছেন।
আর যে প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব ঘটবে তার নামই হলো ‘মেটাভার্স
মেটাভার্সকে বলা হচ্ছে ইন্টারনেটের ভবিষ্যত। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে বাস্তব জগতের মতো যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি কোন কিছু শুধু দেখতেই পাবেন না, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতেও সক্ষম হবেন।
তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপন বলেন, ‘এটাকে থ্রি-ডি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড বলতে পারেন। স্ক্রিনে এখনকার বেশিরভাগ স্পেস হচ্ছে টু-ডি বা দ্বিমাত্রিক। কিন্তু মেটাভার্স জগতে আমাদের অভিজ্ঞতা হবে থ্রি-ডির মতো। টেলিফোনে কারো সঙ্গে কথা বললে মনে হবে সামনা-সামনি আলাপ হচ্ছে।’
সাধারণ মানুষের কাছে মেটাভার্স প্রযুক্তিকে আপাতত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা ভিআর-এর কোন সংস্করণ বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে এটি তার চেয়েও অনেক বেশি।
প্রযুক্তিবিদেরা জানিয়েছেন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সঙ্গে মেটাভার্সের তুলনা আজকের দিনের স্মার্টফোনের সঙ্গে আশির দশকের মোবাইল ফোনের তুলনা করার মতো।
বর্তমানে ভিআর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনলাইন গেমিং-এর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু মেটাভার্সের ব্যবহার হবে সকল বিষয়ে - অফিসের কাজ থেকে শুরু করে খেলা, কনসার্ট, সিনেমা, এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার বেলাতেও।
অনেকে কল্পনা করছেন যে, এই মেটাভার্স প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নিজের একটি থ্রিডি অবতার বা চরিত্র থাকবে এবং এটিই অনলাইনে তার প্রতিনিধিত্ব করবে। অর্থাৎ এটি ঘুরে ফিরে বেড়াতে পারবে ও অন্যান্য চরিত্রের সঙ্গে নানা কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে।
বলা যায়, এ প্রযুক্তিতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ‘শেয়ার্ড ভার্চুয়াল পরিবেশে’ প্রবেশ করা যাবে। অর্থাৎ এটি হবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে ব্যবহার করে তৈরি ডিজিটাল স্থান, যেখানে বাস্তব দুনিয়ার সাথে মিলিয়ে দেয়া হবে ডিজিটাল বিশ্বকে।
‘গুগল ম্যাপে যখন কোন রাস্তা দিয়ে যান, স্ট্রিট ভিউতে আপনি আশেপাশের গাড়ি-বাড়ি-দোকানপাট সব দেখতে পান। আমি চাইলে ঢাকায় বসে লন্ডনের রাস্তা দেখতে পারি। এ পর্যন্ত কিন্তু হয়ে গেছে। এটা মেটাভার্সের সূচনা পর্ব। এর পরে যেটা হবে তা হচ্ছে এসব জায়গায় থাকার যে অভিজ্ঞতা সেটা আমি সেখানে না থেকেও ফিল করতে পারবো,’ বলেন জাকারিয়া স্বপন।
কম্পিউটারের সামনে বসে না থেকে একটি ভিআর হেডসেট লাগিয়েই আপনি আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাত, গানের কনসার্টে যাওয়া, শপিং থেকে শুরু করে মোটামুটি সবকিছুই করা যাবে এ নিয়মে।
ফেসবুক সম্প্রতি ১০ হাজার কর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে ইউরোপে এই মেটাভার্স প্রযুক্তি প্রসারের জন্য। এতে প্রচুর অর্থও বিনিয়োগ করছে তারা। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জন্য বানানো হচ্ছে অকুলাস হেডসেট যা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর সেটের তুলনায় দামে কম পড়বে।
মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল, রোব্লক্স ও ফোর্টনাইট নির্মাতা এপিক গেইমস কোম্পানিও মেটাভার্স তৈরিতে অংশ নিচ্ছে। তাদেরও এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রচুর।
এপিক গেইমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ফোর্টনাইটের এক ভার্চুয়াল কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ড যাতে কয়েক লাখ মানুষ অংশ নেয়।
অপেক্ষা কতদূর !
গত কয়েক বছরে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হয়েছে। কিছু হেডসেট তৈরি হয়েছে যা মানুষের চোখের সঙ্গে এমন চালাকি করতে পারে যে, আপনি যখন ভার্চুয়াল পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াবেন তখন মনে হবে সবকিছু থ্রিডি-তে দেখতে পাচ্ছেন।
প্রযুক্তিবিদেরা বলছেন, মেটাভার্স প্রযুক্তি তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ইন্টারনেটের গতি আরো দ্রুত হওয়ার সাথে সাথে, বিশেষ করে ফাইভ-জি বাজারে আসার পরেই সব সমস্যার সমাধান ঘটবে।
‘১০ বছর আগে মেটাভার্স একটি ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে এটি অনেক দূর এগিয়ে গেছে।’
‘আমরা মেটাভার্সের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। আগামী সাত/আট বছর পরে দেখবেন যে আমরা মেটাভার্সের জগতে প্রবেশ করে ফেলেছি,’ জানালেন তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপন।
সূত্র : বিবিসি