এটি সত্য যে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্য ইউটিউবারদের অর্থ প্রদান করে।
কিন্তু YouTube কীভাবে অর্থ করে?
আমরা সবাই এই প্রশ্নের উত্তর জানি যে, আমরা YouTube এ ভিডিওগুলি দেখি এবং কখনও কখনও আমাদের ভিডিওগুলিতে বিজ্ঞাপন দেখা যা। YouTube এই বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ উপার্জন করে।
কিন্তু ইউটিউব এই টাকা কোথা থেকে পায়?
ইউটিউব এই টাকা উপার্জন করে গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যম। Adsense গুগল এর একটি বিজ্ঞাপন সংস্থা যা YouTube এর ভিডিওগুলিতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অর্থ প্রদান করে।
বর্তমান অবস্থা হিসাবে গুগল বিজ্ঞাপনবাবদ মোট আয়ের 45% রাখে এবং ইউটিউবারদের 55% প্রদান করে। এই অর্থ তারাই পাবে যারা ইউটিউব এর মাধ্যমে Google Adsense পেয়েছে। প্রতিটি চ্যানেলকে Google Ad-sense দ্বারা Monetization অন করার অনুমতি প্রদান করা হয় না। এর জন্য কিছু নিয়ম কানুন মানতে হয়।
YouTube চ্যানেলে Monetization ইতিহাস
বেশ কয়েক বছর আগে যদি একজন ইউটিউবার YouTube ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলেন তবে এটি তার পক্ষে খুব সহজ ছিল। ইউটিউবারদের কেবল তাদের চ্যানেলে Monetization অন করার জন্য আবেদন করতে হতো এবং এই আবেদন কোনও শর্ত ছাড়াই গ্রহণযোগ্যতা পেত ।
বর্তমানে ইউটিউবাররা শুধু আয় করার জন্যই Youtube ব্যবহার করছেন। এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করার পর গুগল তাদের Monetization নিয়ম আরো কঠিন করেছেন।
এরপর গুগল থেকে একটি নোটিশ দেওয়া হয় যাতে বলা হয়েছে Monetization এর জন্য প্রত্যেক ভিডিওতে ন্যুনতম ১০০০০ ভিউজ থাকতে হবে।
এই থ্রেশহোল্ডটি কিছুটা নরমাল চ্যানেলগুলি দ্বারা খুব সহজেই সম্পন্ন করা যায় এবং তারা ছোট পর্ন এবং ১৮+ এর মত অনুপযুক্ত ভিডিওগুলি পাব্লিশ করে।
তারপরে কোম্পানিগুলি এমন অনুপযুক্ত ভিডিওগুলিতে তাদের বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শন করতে অস্বীকার করেছে। তারপরে ইউটিউব ক্লিনার ইউটিউবের জন্য ইউটিউব ইউটিউবে ডলারের প্রতীক প্রবর্তন করেছে যা এটির বিষয় অনুসারে অনুপযুক্ত হিসাবে একটি ভিডিও চিহ্নিত করতে সবুজ থেকে হলুদ বা ক্রস ডলার চিহ্নের রঙ পরিবর্তন করেছে।
অনুপযুক্ত ইউটিউব চ্যানেলগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এই ইউটিউব ক্লিনার পেয়েছে। তখনও 10,000 ভিউজের থ্রেশহোল্ড অর্জন করা খুব সহজ ছিল। তাই ২01২ সালের জানুয়ারিতে ইউটিউব এর Monetization নীতি পরিবর্তন করে।
নতুন YouTube Monetization নীতিগুলি নিম্নরূপ: -
এখন Monetization এর জন্য কোনও ইউটিউব চ্যানেলএ থাকতে হবে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং শেষ ১২ মাসে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম।
বর্তমানে এটাকে সম্পূর্ণ একটি খুব বড় ধরণের থ্রেশহোল্ড বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কিন্তু আসলেই এটা কঠিন কিছু না। ধরুন যে আপনি প্রতিটি ভিডিও 5 মিনিটের করে তৈরি করছেন। অনুমান করা যাক যে লোকেরা পুরো ভিডিওটি দেখেছে তাই আপনাকে Monetization অন করতে এই ভিডিওটিতে 48,000 টি ভিউজ প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত কল্পনা করুন,
অনুমান করুন যে লোকেরা আপনার ভিডিওটি দেখে শুধুমাত্র 2.5 মিনিট করে সুতরাং ওই ভিডিওতে ভিউজ প্রয়োজন 96,000।
এখন সাবস্ক্রাইব থ্রেশহোল্ড সম্পর্কে কথা বলা যাক।
এটা কি সম্ভব নয়? যদি 96,000 মানুষ আপনার ভিডিও দেখে তবে তাদের মধ্যে 1% আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করবে না ? আপনি সহজেই প্রায় 1,000 সাবস্ক্রাইব পাবেন।
কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করা উচিত যে, ইউটিউব আপনাকে আপনার ভিডিওগুলির ভিউয়ের উপর ভিত্তি করে Monetization প্রদান করে এজন্যই আপনাকে ভিউয়ার বাড়াতে হবে।
এছাড়াও প্রতিটি ভিডিও থেকে আয় বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হয়।
উন্নয়নশীল দেশগুলির তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশে আপনার ভিডিওগুলি দেখা হলে আপনার আয় বেশি হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ের বিজ্ঞাপন অনুসারে আয়েরহার বেশি হয় বলে ফ্লিপকার্ট বিগ বিলিয়ন দিন দিন বেড়েই চলছে বলে মনে করা হয়।
তবে YouTube আয় স্বাভাবিক আয়ের তুলনায় বেশি হয়।
উল্লেখ্য, একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার YouTube অ্যাকাউন্টটি এবং আপনার Adsense অ্যাকাউন্টে $ 100 উপার্জন করার পরেই কেবল আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে উক্ত $ স্থানান্তরিত হবে। এছাড়াও আপনার Adsense অ্যাকাউন্টে $ 10 হলে পরে আপনাকে আপনার ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রমাণপত্রাদি যোগ করতে হবে যা পরে যাচাই করা হবে একটি পিন এর মাধ্যম।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আশাকরি পোষ্টটি সহায়ক হবে। .
ধন্যবাদ
ReplyDelete